Sunday, September 9, 2018

Football World Cup 2018 - 1

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ থেকে ফুটবল দেখা শুরু। সবার সাথে সাথে আমিও তখন ব্রাজিল সমর্থক। বাসার ছাদে পতাকা লাগানো হল। সেই বার ব্রাজিল ভালো খেললেও ফাইনালে গিয়ে হেরে যায় ফ্রান্সের কাছে। ফাইনালটা মূলত হারে জিদানের কাছে। এর পর থেকে আমার ছোট মনে আঘাত লাগে, আমি কিছুতেই ফ্রান্স আর জিদানকে সহ্য করতে পারতাম না। এর পর দেখতে দেখতে বহু বছর কেটে যায়। মাঝে অনেক বছর খেলা দেখা হয় নাই। বিবেকবোধ ধীরে ধীরে তৈরি হবার ফলে বুঝতে পারি, আমি জিদানকে দেখতে পারি না, কারণ সে খারাপ – এই কারণে না! কারণ সে অস্থির লেভেলে ভালো খেলে (একই কারণে দিয়াগ সিমিওনেকেও এক সময় সহ্য করতে পারতাম না!)। ২০১৪ বিশ্বকাপ থেকে ধীরে ধীরে আমি ফ্রান্স সমর্থক অবশেষে, তারপর ২০১৬ এর ইউরো, আর এবারের বিশকাপেও তার ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সের সমর্থক। আফসোসের ব্যাপার হল, ২০১৪ তে কেনা ফ্রান্সের দুইটা জার্সির মাঝে একটাতে বড় ভাই করিমের নাম লেখা। যে কিনা এবার স্কোয়াডেই নাই। উনি সারা সিজন মাদ্রিদে গোল মিস করে, এখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে রোজা রাখে আর ইফতারের ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে।
আমার মতে ফ্রান্সের লাইন আপ জার্মানির মত বুক কাপান না হলেও, দল যথেষ্ট ব্যালেন্স আর তরুণ খেলোয়াড়ে ভরপুর। ফরওয়ার্ডে Griezmann, Mbappe, Giroud, Dembele আছে, মাঝ মাঠে Pogba, Kante আছে, ডিফেন্সে Varane, Umtiti আছে, আর পোস্টের নিচে আছে স্পুরসের ভরসা হুগ লরিস। আর ১৯৯৮ এ নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন Didier Deschamps এবার জাতীয় দলের কোচ।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে এক রকম অসুস্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে চারিদিকে বরাবরের মতই। একটা কথা মাথায় রাখলে কেউ এমন বাড়াবাড়ি করার কথা না। আমাদের সমর্থনে কোন দল খুব একটা সামনে এগিয়ে যায় না। আমরা মাঠে গিয়ে খেলা দেখি না। এমনকি আমরা সমর্থক হিসেবে নকল জার্সি কিনি। আর্থিকভাবেও তারা লাভবান হয় না। কোনভাবেই আমার অথবা আমাদের উন্মাদ সমর্থক দ্বারা কোন জাতীয় দল উপকৃত হয় না। মাঝে থেকে আমরা নিজেদের মাঝে অহেতুক তর্ক করে সম্পর্ক নষ্ট করি, অতিরিক্ত উন্মাদনায় নিজের মূল্যবান সময় অপচয় করি। সংযমের মাসের পর পরই ফুটবল বিশ্বকাপ। সংযমের মাসের টেম্পারমেন্ট মাথায় রেখে যেন আমরা ফুটবল এঞ্জয় করি।
বেষ্ট অফ লাক ফ্রান্স!

No comments:

Post a Comment