ফ্রান্স ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপ আর ২০০০ এর ইউরো চ্যাম্পিয়ন। ২০০৬ এর বিশ্বকাপ রানার আপ। ২০১৬ এর ইউরো রানার আপ আর ইতিমধ্যে ২০১৮ এর বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট। ১৯৯৮ থেকে ২০১৮, এই ৬ টা বিশ্বকাপের মাঝে ফ্রান্স এই নিয়ে তিনবার ফাইনালে। এক বার চ্যাম্পিয়ন, একবার রানার আপ, আর এইবারের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা! ২০১৪ তে ও তারা শেষ ৮ এ গত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয়।
খুব সাধারনভাবে খেয়াল করলে, আমাদের এই জেনারেশন বিশ্বকাপ এবং ইউরো পর্যায়ে ফ্রান্সের অনেক বেশি সাফল্য দেখার সৌভাগ্য হয়। এই জেনারেশন একই সাথে ফ্রান্সের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ী জাতীয় দলের অধিনায়ক ডিডিআর দেশামকে এই বারের কোচ হিসেবে দেখতে পায়। আর জিদানের কথা উল্লেখ নাই করলাম। ওর কথা বলতে গেলে এই লেখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
সাফল্যর সাথে সাথে কিছু খারাপ সময়ের কথাও উল্লেখ করি। ২০০২ এবং ২০১০ এ ফ্রান্স ফার্স্ট রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়। ২০০২ এর টা বলা যায়, চ্যাম্পিয়নস-কুফার আওতায় পড়েছে। ২০১০ এর টা আমি বলবো জিদান পরবর্তী অগোছালো ফ্রান্সই ছিল এক মাত্র কারণ। কিন্তু, তারা কিন্তু সেই সময় কাটিয়ে উঠে ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটা আসরে অসাধারণ পারফর্ম করে যাচ্ছে। একটা মজার ফ্যাক্ট হল, ২০০২ এবং ২০১০ – দুইবারই তারা গ্রুপ স্টেজে উরুগুয়ের সাথে পড়ে, ঠিক দুইবারই তারা আগের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল, দুইবারই তারা উরুগুয়ের সাথে গোল শূন্য ড্র করে, দুইবারই উরুগুয়ের সাথে সেই খেলায় কেউ না কেউ লাল কার্ড পায়, দুই বারই গ্রুপ পর্যায় থেকে বাদ পড়ে! এটা কি আমার মজার নাকি কাকতালীয় পর্যবেক্ষণ তা জানি না, তবে এই বার তারা উরুগুয়েকে শেষ ৮ থেকে বিদায় করে দিয়ে তার বদলা নিয়েছে বলা যায়। সুতরাং, পরের বিশ্বকাপে যদি গ্রুপ পর্যায়ে তারা উরুগুয়ের সাথে পড়ে, তাহলে খেলা গোল শূন্য ড্র হবার, কেউ না কেউ লাল কার্ড পাবার, এবং গ্রুপ স্টেজ থেকে বাদ বার পড়ার সম্ভাবনা থাকবে! হা হা হা
No comments:
Post a Comment