Sunday, September 9, 2018

Football World Cup 2018 - 4

প্রায় এক মাস আগেও এটা জাস্টিফাই করা খুব কঠিন ছিল, আমি কি কারণে মনে করি ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হবে? আমি খুব সিমপ্লি বলেছিলাম যে, এই টিম অনেক ব্যালেন্স আর অনেক ইয়াং প্লেয়ার এদের। ২০১৪ তে ও যেই তিন জনকে শর্ট লিস্ট করা হয় বেষ্ট ইয়াং প্লেয়ার শাখায়, তাদের মাঝে দুই জন – ভারান আর পগবা, ছিল ফ্রান্সের। পগবা বেষ্ট ইয়াং প্লেয়ার হয় ২০১৪ সালে। আর ২০১৮ তে ও বেষ্ট ইয়াং প্লেয়ার ফ্রান্স থেকে – এম্বাপ্পে। আর সমগ্র স্কোয়াডের গড় বয়স হিসেব করলে, নাইজেরিয়া ১ নাম্বারে (২৫.৯ বছর) আর তার পরেই ফ্রান্স (২৬ বছর)। সুতরাং, তারুণ্য আর ব্যালেন্স পারফর্মেন্স অনেক অভিজ্ঞ দলকে পিছনে ফেলে বিশ্বকাপ তুলে নিয়েছে তাদের হাতে।
ফ্রান্স শেষ ১৬ এর লড়াই থেকে ফাইনাল পর্যন্ত মুখোমুখি হয় পর্যায়ক্রমে – আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, বেলজিয়াম আর ক্রোয়েশিয়ার। কোন খেলাই ট্রাই ব্রেকারে যায় নাই, এমনকি ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও গড়ায় নাই। তার মানে, ভাগ্যর উপর নির্ভর করে কোন খেলায় তারা পার পায় নি। কোন একজন খেলোয়াড়কে কেন্দ্র করে ছিল না টিম। গ্রিজম্যান আর এম্বাপ্পে ৪ টা করে গোল করছে। তাদের ডিফেন্ডাররাও গোল পেয়েছে। বলা যায়, ফ্রান্সের টিম কম্বিনেশন ছিল অসাধারণ। তাদের টিমে ছিল স্প্যানিশ লীগ, ইংলিশ লীগ, ফরাসি লীগে খেলা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার একই সাথে। অন্যদিকে যেমন, স্পেনের বেশির ভাগ ছিল স্প্যানিশ লীগের, ইংলিশদের বেশির ভাগ খেলোয়াড় ছিল নিজেদের লীগের।
তবে বলা যায়, সেমি পর্যন্ত উঠে আসা ৪ দলই কিছু না কিছু অর্জন করেছে। সকল পুরুস্কার পোলারাইজড ভাবে চ্যাম্পিয়নদের ছুড়ে দেয়া হয় নাই। ফ্রান্স কাপ পায়, এম্বাপ্পে পায় বেষ্ট ইয়াং প্লেয়ার, লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া) গোল্ডেন বল, করতুয়া (বেলজিয়াম) গোল্ডেন গ্লাভস আর হ্যারি ক্যান (ইংল্যান্ড) গোল্ডেন বুট। সব যোগ্য দল এবং তাদের প্লেয়াররা সঠিক প্রাপ্যটা নিয়েই বাড়ি ফিরছে।
বিশ্বকাপ জীবন থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাস উত্তেজনার ছলে কেড়ে নিয়ে গেছে। তবে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা তার খানিকটা ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিন্তা করা যায়।

No comments:

Post a Comment